রোববার (১২ মে) তাদের সাতক্ষীরা বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের উন্মাদ আইনে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মস্তিষ্ক বিকৃতির কোনো লক্ষণ পাওয়া গেলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
>>>আরও পড়ুন...সাতক্ষীরায় ‘ছেলে ধরা’ রোহিঙ্গা আতঙ্ক, পুলিশ বলছে গুজব!
এ বিষয়ে জেলার কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রোহিঙ্গা ছেলে ধরা সন্দেহে ১৩ জনকে এলাকার লোকজন গত কয়েক দিনে বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করে পুলিশে দেয়। কিন্তু তারা কেউ রোহিঙ্গা নন, এমনকি কোনো অপরাধীও নন।
তিনি আরও বলেন, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় তাদের সাতক্ষীরার বিচারিক আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত ১৩ জনকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর আদেশ দেন।
সম্প্রতি সাতক্ষীরায় ‘ছেলে ধরা রোহিঙ্গা’ ঘুরছে বলে ব্যাপক গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিভ্রান্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ দেখলেই তাদের আটক করে মারধর করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
এনটি