ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে পায়রা বন্দর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
২০২৫ সালের মধ্যে চালু হবে পায়রা বন্দর

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্র বন্দর ‘পায়রা’ ২০২৫ সা‌লের ম‌ধ্যে এ অঞ্চ‌লের এক‌টি অন্যতম আধু‌নিক ও গভীর সম‌ুদ্র বন্দর হি‌সে‌বে আত্মপ্রকাশ কর‌বে। 

রাবনাবাদে চারিপাড়ায় নির্মিতব্য টার্মিনালে ২০২৫ সালে পায়রা বন্দর সরাসরি পণ্য খালাসের কাজ শুরু করবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে পায়রা বন্দর মিলনায়তনে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান।

এসময় পায়রা বন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের টেন্ডার কল করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণের বাকি কাজ যৌথসার্ভের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া নিশানবাড়িয়ায় একটি কোল টার্মিনালসহ আরও একটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এজন্য ৪৩৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর নাগাদ কোল টার্মিানাল নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। এছাড়াও বহুমুখী কাজে ব্যবহারের জন্য এক দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টার্মিানাল নির্মিত হবে। এটি চান্দুপাড়ায় নির্মিত হবে। মধ্যমেয়াদী এসব কার্যক্রমের সঙ্গে এখন পায়রা বন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। বন্দরের লোকবল নিয়োগ কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে।

বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমান নাব্যতার চ্যানেলে ২০-২৫ হাজার টন পণ্যবাহী জার্মান শিপিং কোম্পানির জাহাজ পণ্য খালাসের কাজ চালাবে। পরে ক্যাপিট্যাল ড্রেজিংয়ের পরে ৪০-৫০ হাজার মেট্রিক টন পণ্যবাহী জাহাজ পণ্য খালাসের কাজ শুরু করবে। বর্তমানে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে চার হাজার পরিবারের পুনর্বাসন ছাড়াও তাদের কর্মদক্ষতার উন্নয়নে প্রশিক্ষণের কাজ চলমান রয়েছে।

২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পটিকে ফ্যাস্ট ট্রাক প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ১৯টি কম্পোনেন্ট বিভাজন করা হয়। যেখানে দেশের জিটুজি অর্থায়ন এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব পিপিপি ভিত্তিতে এর বাস্তবায়ন চলছে।

ইতোমধ্যে তিনটি পরামর্শক কোম্পানি মাস্টার প্লান অনুসারে মূল বন্দরের কাজ শুরু করেছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিংএর জন্য ওয়াটার এবং ল্যান্ডে মোট ২২০ একর জমি বেলজিয়ামের জান-দে-নুল কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। অপরদিকে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ সরকারি ডিপিপি অনুসারে ডিজাইন, মূল্যায়নের কাজ চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।