শনিবার (১১ মে) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মহানগরীর নতুন রাস্তা, আটরা ও রাজঘাটে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচি চলাকালে শ্রমিকেরা রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে।
আন্দোলনরত শ্রমিক নেতারা জানান, শনিবার সকাল ছয়টা থেকে মিলের উৎপাদন বন্ধের চলমান কর্মসূচির পাশাপাশি এবং বিকেল চারটা থেকে নতুন রাস্তা, আটরা ও রাজঘাটে অবরোধসহ রাস্তায় ইফতারি ও দু’ওয়াক্তের নামাজ আদায় করা হয়। এছাড়া রোববার (১২ মে) প্রতিটি মিলে গেটসভা করে সারাদেশের ২৬টি পাটকলে একযোগে একই কর্মসূচির কথা জানানো হবে। যেটি সম্প্রতি ঢাকায় পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। অর্থাৎ সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে ধর্মঘট ও তিন ঘণ্টার রাজপথ-রেলপথ অবরোধ এবং আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় ও ইফতারির মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের কর্মসূচি শেষ হবে।
ক্রিসেন্ট জুট মিল সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন জানান, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পি.এফ. গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয়া প্রদান, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করাসহ প্রশাসন ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রমজানের মধ্যেও রাজপথে আবার নামতে বাধ্য হয়েছি।
গত রোববার (০৫ মে) বিকেল থেকে খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয়টি পাটকলের সাধারণ শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে বকেয়া মজুরি পাওনা পরিশোধসহ নয় দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এমআরএম/এনটি