ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইফতারে চটপটে খাবারের স্বাদ দিচ্ছে ‘তাওয়া পরোটা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
ইফতারে চটপটে খাবারের স্বাদ দিচ্ছে ‘তাওয়া পরোটা’ ‘তাওয়া পরোটা’ জিভে নিয়ে আসবে ভিন্ন স্বাদের বারতা

রাজশাহী: সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার, এমনকি অনেকের কাছে দুপুরের খাবারেও পছন্দের তালিকায় রয়েছে পরোটা। আর রমজানে-তো যেন তুলনাই নেই। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতারে ভোজনরসিকদেরও সমান প্রিয় এই পরোটা।

ইফতারের অন্য আইটেমের সঙ্গে গরম গরম তাওয়া পরোটা আর শসা কুচির যেন জুড়ি নেই। পাওয়া যায় পাশের দেশ ভারতের প্রাণকেন্দ্র দিল্লিতে।

তবে গেলো কয়েক বছর ধরে সুস্বাদু এই তাওয়া পরোটা পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের উত্তরের বিভাগীয় শহর রাজশাহীতেও।

চলমান তাপদাহের মধ্যে সারাদিন রোজা রেখে মুখ যখন পানসে ও সেদ্ধ হওয়ার উপক্রম তখন চটপটে মশলায় মাখা মাংসের সেদ্ধ কিমা দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি এই ‘তাওয়া পরোটা’ জিভে নিয়ে আসবে ভিন্ন স্বাদের বারতা। তাইতো মুখরোচক এই খবারটি এরইমধ্যে রাজশাহীর অনেক মানুষের কাছে ইফতারের প্রধান আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন শেষে ইফতারের প্লেটে নিত্যনতুন খাবার যাদের পছন্দ তাদের স্বাদের কথা মাথায় রেখে খাবারটি তৈরি করছে অভিজাত রেস্তোরাঁ ‘চিলিস’।  

এক এক করে রমজানের পাঁচটি দিন এরইমধ্যে অতিবাহিত হতে চলছে। আর প্রথম সপ্তাহেই পছন্দের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে দিল্লির এই তাওয়া পরোটা। দুপুর গড়াতেই সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের চিলিস বাংলা রেস্তোরাঁয় ইফতারের পসরায় আরও অনেক খাদ্যপণ্যের সামারোহ থাকে।

কিন্তু দিল্লির ঐতিহ্যবাহী সু-স্বাদু ‘তাওয়া পরোটা’ মন ভোলাচ্ছে রোজাদারদের। তাওয়া পরোটার সঙ্গে থাকছে হট ব্রিফ গ্রিল। প্রতিপিস তাওয়া পরোটার মূল্য রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। আর হট ব্রিফ গ্রিলসহ ফুল প্যাকেজের মূল্য ধরা হচ্ছে ১২০ টাকা। বিকেল হতেই তাই ভিড় বাড়ছে রেস্তোরাঁয়।  

চিলিসের বিক্রেতা আল-মামুন জানান, পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, সয়া সস, টমেটো সস, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ কুচি, পুদিনা পাতা ও মাংসের সেদ্ধ কিমা দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা হয় এই তাওয়া পরোটা। বিশেষ এই পরোটা তৈরির জন্য ঢাকা থেকে বাবুর্চি আনা হয়।  

দিল্লির ঐতিহ্যবাহী তাওয়া পরোটা তৈরি হয় পাকা হাতেই। চিলিসের অন্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে- পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বোরহানি। যার দাম প্রতি লিটার ১৫০ টাকা, লাচ্ছি ১৬০ টাকা, লাবাঙ ১৬০ টাকা, ফালুদা প্রতি কাপ ৭৫ টাকা। এছাড়াও প্রতিবারের মতো রয়েছে খাসির তেহারি ১৮০ টাকা, শাহী হালিম ১৮০ টাকা, গ্রিল চিকেন ৩৪০ টাকা (ফুল), বোম্বে জিলাপি ১২০ টাকা, শিক কাবাব ৫০ টাকা, লিভার কাবাব ৫০ টাকা, সরমা বিফ ৬০ টাকা, চিকেন টিক্কা ১০০ টাকা, বিফ সাসলিক, চিকেন সাসলিক ও ফিস সাসলিক প্রতি ৪০ টাকা, ফ্রেশ চপ ৫০ টাকা, ফ্রাইড চিকেন ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এ রেস্তোরাঁয়।

আর ইফতারের বক্স অর্ডার করলে তার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে জালি কবাব, বেগুনি, পিঁয়াজু, আলুর চপ, জিলাপি, বুট, খেজুর, পানি, ম্যাঙ্গো জুস, শশা ও কলা। যার অর্ডার মূল্য ১৩০ টাকা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।