ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মধ্যস্বত্বভোগীদের টাকা না দিতে হজযাত্রীদের হাবের আহ্বান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
মধ্যস্বত্বভোগীদের টাকা না দিতে হজযাত্রীদের হাবের আহ্বান সংবাদ সম্মেলনে হাবের সভাপতিসহ অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: হজযাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী। হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে টাকা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানায় হাব।

এতে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, হজযাত্রীদের বিরম্বনায় পড়ার প্রধান কারণ মধ্যস্বত্বভোগী।

হজযাত্রীরা দয়া করে মধ্যস্বত্বভোগী ও দালালদের কাছে টাকা দেবেন না। শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন। হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর কেউ কোনো বিড়ম্বনায় পড়লে, সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে হাব সভাপতি বলেন, ফ্লাইটের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করার জন্য সরকার এবং হজ এজেন্সিগুলো উদ্বুদ্ধ করে আসছে। কিন্তু এয়ারলাইন্সগুলোর কারণে এখনও টিকিট নিশ্চত করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায়ই আমরা বাড়ি ভাড়া করার কাজ শুরু করে দিয়েছি। এয়ারলাইন্সগুলোর কারণে ফ্লাইটের টিকিট নিশ্চিত করে তারপর বাড়ি ভাড়া করাটা সম্ভব হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওমরাহ যাত্রী ও মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের ফ্লাইটে তীব্র আসন সংকট ও দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধির কথা তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে হাবের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর লক্ষাধিক ওমরাহ যাত্রী সৌদি আরবে যান। এখন সারাবছরই ওমরাহ পালনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এয়ারলাইন্সগুলোতে ওমরাহ যাত্রীর আসন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই সুযোগে এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইটের ভাড়া অসহনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি করেছে। যেখানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা ওমরাহ যাত্রীদের প্লেন ভাড়া ছিল ৫০ হাজার টাকা, এখন সেটা বেড়ে ৮০-৮৫ হাজার টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০-৯৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতো বেশি ভাড়া দিয়েও ফ্লাইট পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ বছর কমপক্ষে ২০ হাজার ওমরাহ যাত্রী ভিসা সংগ্রহ ও হোটেল বুকিং করার পরও রমজানে ওমরাহ পলন করতে পারবেন না। যদিও অর্থনৈতিক দিক থেকে এই ২০ হাজার ওমরাহ যাত্রীর ভিসা ও হোটেল বাবদ ইতোমধ্যেই খরচ হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা।

এছাড়া প্লেন ভাড়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে অভিবাসন ব্যয়ও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার গরীব অভিবাসীরা বর্ধিত ব্যয় বহন করতে না পাড়ায় ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, এই সংকট দূর করতে হাবের পক্ষ থেকে দু’টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যেসব রুটে যাত্রী সংখ্যা কম ও অলাভজনক অবস্থা, সেসব রুটের ফ্লাইট কমিয়ে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-রিয়াদ-ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী অন্যান রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এছাড়া বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার সহজ সুযোগ দেওয়ার জন্য ওপেন স্কাই করা এবং তাদের উৎসাহী করার জন্য হ্যান্ডেলিং, ল্যান্ডিং, পাকিংসহ অন্যান্য চার্জ কমানো বা মওকুফ করা যেতে পারে।

এই সমস্যা সমাধানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও হাব সভাপতি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এসকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।