শনিবার (১১ মে) সকালে পৌরসভার মজুপুর এলাকায় আধুনিক হাসপাতালে (প্রাইভেট) এ ঘটনা ঘটে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ভুল চিকিৎসা নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন রেজিয়া।
এদিকে ঘটনায় নিহতের বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর ও সামনের লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়ক কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সড়ক অবরোধ তুলে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহত রেজিয়া বেগম সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের প্রবাসী আবু তাহেরের স্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, শুক্রবার (১০ মে) ডান হাত ভাঙা নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয় রেজিয়া বেগম। রাত ১২টার দিকে তার হাতের অপারেশন করা হয়। পরে ভোর ৪টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেডে স্থানান্তর করা হয়। একপর্যায়ে রেজিয়ার হাত থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এতে স্বজনরা জড়ো হয়ে হাসপাতালের গ্লাস (কাঁচ) ভাঙচুর করেন।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অতিরিক্ত ইনজেকশন পুশের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ওই হাসপাতালে চিকিৎসক এছহাক ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, রোগীর হাতে সফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে বেডে স্থানান্তর করা হয়। পরে রোগী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে সড়ক অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এসআর/এএটি