শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে সুনামগঞ্জ সদরের জগৎজ্যোতি পাঠাগারে উন্নয়ন সংস্থা অ্যাফোরটস ফর রুরাল অ্যাডভান্সমেন্টের (ইরা) আয়োজনে ‘নকশী কাঁথা প্রশিক্ষণ ও বিক্রয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের এক সময় খুবই অবহেলা করে বাঙাল বলা হতো।
এমএ মান্নান বলেন, নকশী কাঁথা আর সাধারণ কাঁথা এক নয়। নকশী কাঁথা তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। দামও বেশি। অনেক সুন্দর করে এই কাঁথাগুলো ডিজাইন করা হয়। এগুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে। এর ব্যবসা করে সফল হওয়া সম্ভব। কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে, অনেকেই শখ করে সেলাইয়ের কাজ করেন, এটা হলে হবে না। জীবন-জীবিকার জন্য যারা কাঁথা তৈরির কাজ করেন, তাদেরই মূলত প্রশিক্ষণ দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে। তাহলেই নকশী কাঁথা শিল্প বিকশিত হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ গ্রামের উন্নয়ন করা। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী সবসময় চান পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোর উন্নয়ন হোক। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বাস করে দেশে সব ধর্মের মানুষ এক হয়ে সুন্দরভাবে বসবাস করবে।
সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে এতে বক্তব্য রাখেন ফ্যাশন ডিজাইনার ও মডেল বিবি রাসেল।
আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (ইউনেসকো) প্রতিনিধি তাজ উদ্দিন।
এর আগে ইরার নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নকশী কাঁথা সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
টিএ