ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

শরীয়তপুর: চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশে চাঁদাবাজির অভিযোগে শরীয়তপুরের তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর হায়দার শাওনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী ট্রাফিক পরিদর্শক (এটিএসআই) মো. কুদ্দুস, ট্রাফিক পরিদর্শক (টিএসআই) গোলাম মোস্তফা ও ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল সুব্রত।

শুক্রবার (১০ মে) তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।  

এদের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের আংগারিয়া থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার সড়কের ৫ থেকে ৮টি পয়েন্টে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি গাড়িরচালক ও মালিকদের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে চাঁদা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে।  

পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হওয়ার পর তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তদন্তে আরও কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।   

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-খুলনা মহাসড়কের শরীয়তপুর অংশ দিয়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ যানবাহন যাতায়াত করে। সেই সঙ্গে জেলার ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আওতায় রয়েছে আরও ৫ শতাধিক পরিবহন। অভিযোগ রয়েছে, শরীয়তপুরের আংগারিয়া থেকে নরহিসংপুর ৩৫ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৮টি পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে এই পুলিশ সদস্যরা।  

আংগারিয়া বাজার, মনোহার বাজার, হিন্দুপাড়া স্কুল মোড়, রুদ্রকর, বুড়িরহাট, ভেদরগঞ্জসহ প্রায় ৮টি পয়েন্টে পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ ছিলো গাড়িরচালাক ও মালিকরা। দিন রাত পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।  

চালকদের অভিযোগ ছোট পিকআপ ও ট্রাক প্রতি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং বড় ট্রাক প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা টাকা চাঁদা দিতে হয় পুলিশকে। আবার এককালিন মাসিক চাঁদা দিলে পাওয়া যায় বিশেষ স্টিকার। চাঁদা দিলে গাড়ির কাগজ না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। আর চাঁদা না দিলে গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক থাকলেও গাড়ি আটকে হয়রানি করা হয় বলে চালকদের অভিযোগ। এ নিয়ে কয়েকটি টিভি চ্যানেলে নিউজ প্রকাশ হলে তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।