ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিলারদের কারণে টিসিবি পণ্য বঞ্চিত কুড়িগ্রামবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
ডিলারদের কারণে টিসিবি পণ্য বঞ্চিত কুড়িগ্রামবাসী টিসিবি পণ্য বিক্রির সংগৃহীত ফাইল ফটো

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার নির্ধারিত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ডিলাররা সরকারের বরাদ্দ দেওয়া মালামাল উত্তোলন করছেন না। টিসিবি পণ্যে লাভ হয় না, এমন অজুহাতে তারা মালামাল উত্তোলনে পুরো উদাসীন। এতে করে ন্যায্যমূল্যে এ পণ্য কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী।

রমজানের শুরু থেকে জেলায় টিসিবির মাত্র দু’জন ডিলার পণ্য উত্তোলন করলেও বাকি ২২ জনই সেটা এখনও করেননি। ফলে এসব এলাকার সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন টিসিবি পণ্য থেকে।

সারাদেশে রমজান উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পাঁচটি পণ্য ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হলেও কুড়িগ্রামে তার বিপরীত অবস্থা বিরাজ করছে।

এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক ডিলারের টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রচার-প্রচারণা না থাকায় সাধারণ মানুষ জানেই না যে, এখানে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি চলছে।

এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়। কিন্তু অনেকেই জানে না এখানে কম দামে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া এই পণ্য যাদের পাওয়ার কথা, তারা পাচ্ছে না। সামর্থ্যবানরা পাচ্ছেন কম দামের পণ্য। একইসঙ্গে তেল বাধ্যতামূলক নিতে বলায়, অনেকে ফিরে যাচ্ছেন পণ্য না নিয়েই।

তবে টিসিবির এই ডিলার শাহিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ মানুষ জানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয়। এটা একটা নির্দিষ্ট জায়গা। এছাড়া সরকারিভাবে তেলের বরাদ্দ বেশি থাকায়, অন্যান্যের সঙ্গে এই পণ্যটির বাধ্যতামূলক বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে টিসিবির ২৪ জন ডিলার রয়েছেন। সদর উপজেলায় দুইজন, উলিপর-নাগেশ্বরী-চিলমারীতে একজন করে, রাজারহাট-ভূরুঙ্গামারীতে তিনজন করে, ফুলবাড়িতে ছয়জন এবং রৌমারী উপজেলায় সাতজন ডিলার রয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র দুইজন ডিলার বরাদ্দের পণ্য উত্তোলন করে কার্যক্রম শুরু করেছেন। বাকিরা উত্তোলন করেননি, টিসিবি পণ্যে লাভ হয় না এমন অজুহাতে। এতে করে সরকারের দেওয়া সহায়তা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত দুইজন ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন। বাকিরা এখনও পণ্য উত্তোলন না করায় কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করে সরকারের দেওয়া এই পণ্য যেনো সাধারণ মানুষ পায়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে শিগগির।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামেও রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত টিসিবির তেল, চিনি, খেজুর, ছোলা এবং মসুর ডাল বিক্রির কথা। কিন্তু এ জেলায় কার্যক্রমটি ঠিকভাবে হচ্ছে না। পণ্যগুলো টিসিবির ট্রাক ও নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে সব ডিলারের বিক্রির কথা। কিন্তু জেলার মাত্র দু’জন ডিলার ট্রাকে করে এ পণ্য বিক্রি করছেন।

গতবারের তুলনায় সাধারণ ভোক্তাদের জন্য কম দরে এ বছর প্রতি কেজি চিনি ৪৭ টাকা, মসুর ডাল ৪৪ টাকা এবং সয়াবিন তেল ৮৫ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা এবং খেজুর ১৩৫ টাকা করে বিক্রি করছে টিসিবি। টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতিদিন চিনি ৪০০ কেজি, মসুর ডাল ৩০০ কেজি, ছোলা ৩০০ কেজি, খেজুর ৩০ কেজি, তেল ৫০০ লিটার পর্যন্ত বিক্রি হয়। একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ চার কেজি করে চিনি, মসুর ডাল, ছোলা ও তেল পাঁচ লিটার এবং খেজুর এক কেজি করে নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এফইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ