ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফণীর ছোবলে ৫৩৬ কোটি টাকার ক্ষতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৯
ফণীর ছোবলে ৫৩৬ কোটি টাকার ক্ষতি ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি’র সভা শেষে ব্রিফিং

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষি, বাঁধ, মৎস্য খাতে মোট ৫৩৬ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সচিবালয়ে ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি’র সভা শেষে এ তথ্য জানায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
 
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকভাবে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার মধ্যে ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুররে একজন করে এবং বরগুনায় দু’জনসহ হতাহত হয়েছে মোট পাঁচ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৩ জন।
 
পটুয়াখালী জেলায় গবাদিপশু নিখোঁজ হয়েছে ১৭৫টি, দুই হাজার ৩৬৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১৮ হাজার ৬০৩টি আশংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছেন ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টরসহ মোট ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ এক হাজার ৮০৪ হেক্টর।  
 
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪০টি জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ২১ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার এবং সংস্কারের জন্য ২৫১ কোটি টাকার প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ৩৬টি।  
 
দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ১৪ হাজার ৫০ মেট্রিকটন চাল, তিন কোটি ২৩ লাখ নগদ টাকা, ২১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, চার হাজার বান্ডেল ঢেউটিন এবং এক কোটি ২০ লাখ টাকার গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে।
 
লক্ষ্মীপুরে ৬৩টি বিদ্যালয় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো যাচাই করে সংষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
কৃষিখাতে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ঋণ মওকুফ ও পুনঃঋণ দেওয়ার জন্য আর্থিক বিভাগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। সিপিপি ভলান্টিয়ার ও আরবান ভলান্টিয়ারদের আরো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
 
স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্যমতে ২৪১ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এগুলো মেরামতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
 
কিছু জায়গায় টিউবওয়েল ও স্যানেটারি ল্যাট্রিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
 
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জানান, ফণীর আঘাতে ৭৮ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকার ঘরবাড়ি, ২৫১ কোটি টাকার বাঁধ, স্থানীয় সরকার বিভাগের ২৪১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতে খরচ হবে ১৬১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মাছের ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার, বন ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে (আমের বাগান) ৫ কোটি টাকার, কৃষি বিভাগের ক্ষতি হয়েছে ৩৮ কোটি টাকার।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসনে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডিজি আছেন, ওনার কাছে পাঠাবো (ক্ষয়ক্ষতির হিসাব)। ওনারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজ পৌঁছে দেবেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যে নির্দেশনা আসবে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯/আপ: ১৪৪৪ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।