ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টাকায় অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স-ত্রুটিযুক্ত গাড়ির কাগজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৯
টাকায় অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স-ত্রুটিযুক্ত গাড়ির কাগজ সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অদক্ষ চালক চাইলেই পেতেন লাইসেন্স কিংবা চোরাই বা ত্রুটিযুক্ত গাড়ির যাবতীয় কাগজপত্রও মিলতো সহজেই। এজন্য গ্রাহকের গুনতে হতো মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) রুট পারমিট, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেনসহ মোটরযানের অন্যান্য প্রয়োজনীয় যেকোনো নকল কাগজপত্র গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করে আসছিলো একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর কাফরুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগ।

আটকরা হলেন- আ. খালেক (৬৭), আনোয়ারুল হক শিমুল (৪২), আ. জলিল (৬৪),  আ. রহিম (৩১) ও মোতালেব হোসেন (৫৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মোটরযানের জাল রুট পারমিট ফরম, রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র, ফিটনেস সনদপত্র, ট্যাক্স টোকেন ফরম, বীমা ফরম, বীমা স্ট্যাম্প স্টিকার, ডকুমেন্ট প্রাপ্তি রশিদ, রেজিস্ট্রেশন আবেদন ফরম, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অফিসের ১৫০টি সিল এবং গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া এসকল কাগজপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত একটি ১৭ ইঞ্চি কালার মনিটর, একটি সিপিইউ, ১৬০ জিবি হার্ডডিস্ক এবং একটি প্রিন্টার জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।

তিনি বলেন, আটকরা প্রায় ১২ বছর ধরে মোটরযানের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল করে আসছিলো। গাড়ি ও চালকের ধরণ বা চাহিদা ভেদে তারা বিভিন্ন অংকের অর্থের বিনিময়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসের' ন্যায় সব ধরনের জাল সার্টিফিকেট প্রস্তুত করে দিতো। গ্রাহকদের বেশিরভাগই যারা অদক্ষ ড্রাইভার অথবা চোরাই বা ত্রুটিযুক্ত গাড়ির মালিক।

এছাড়া চক্রটি দালাল হিসেবে বিভিন্ন সময় আসল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী গ্রাহকদেরও জাল কাগজপত্র সরবরাহ করে প্রতারণা করে আসছিলো। তারা ক্ষেত্র বিশেষে গাড়ি প্রতি সব কাগজপত্র প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করতো।

আটক আনোয়ারুল হক শিমুল ও আ. জলিল আগেও পুলিশ হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো। জামিনে মুক্ত হয়ে তারা আবারও জাল কাগজপত্র তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো বলেও জানান আব্দুল বাতেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৯
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad