মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘নিরাপদ পানি: ওয়াসার দাবি ও জনগণের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এক গণশুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবে আশীর্বাদপ্রাপ্ত দেশ বলে উল্লেখ করে আনু মুহাম্মদ বলেন, ঢাকা শহর প্রাকৃতিকভাবে এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যার চারপাশে তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা অবস্থিত।
আনু মুহাম্মদ বলেন, এশিয়ান ব্যাংকের অর্থায়নে ৬ হাজার কোটি বরাদ্ধ করা হয়েছে মেঘনা নদী থেকে পানি টেনে আনার জন্য। এর আগেও বুড়িগঙ্গার পানি শোধনে ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও, বুড়িগঙ্গার পানির কোনো উন্নতি হয়নি, যা ছিল তাই আছে। যে সমস্ত প্রকল্প করা হয়েছে বা হচ্ছে, টাকা পয়সা খরচ করে যে বিশাল বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে, বিশাল বিশাল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, তার কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে।
ওয়াসার পানির বিষয়ে তিনি বলেন, ওয়াসার পানি যদি শতভাগ সুপেয় হতো, তাহলে আমাদের মিজানুর রহমান ওয়াসার পানি দিয়ে এমডিকে শরবত বানিয়ে খাওয়াতে গেলে তিনি অফিস থেকে কেন পালিয়ে যাবেন। ওয়াসার এমডির বক্তব্যের পর এই বিষয়ে কত লেখালেখি হলো। কিন্তু এসব বিষয়ে কারও কোনো কিছু যায় আসে না ভাবটা এমন। আমাদের বাসা বাড়িতে পাইপলাইনে যে পানি আসবে, আমরা ট্যাপ খুলে সেই পানি পান করবো। এটা আমার নাগরিক অধিকার। এর জন্য আমরা সরকারকে টাকা দেই।
নিরাপদ পানি আন্দোলন অধিকার আয়োজিত গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স, জনস্বাস্থ্য প্রকোশলী লেনিন আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম, নগর পরিকল্পানাবিদ আদিলুর রহমান প্রমুখ।
গণশুনানিতে মডারেটরের ভূমিকা পালন করেন জুরাইনের মিজানুর রহমান। শুনানি শেষে সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশের সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
আরকেআর/এমজেএফ