ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ফণী’ মোকাবিলায় সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আত্ম-পর্যালোচনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৯
‘ফণী’ মোকাবিলায় সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আত্ম-পর্যালোচনা

ঢাকা: ভবিষ্যতে যেকোনো দুর্যোগ আরও সুসমন্বিতভাবে মোকাবিলা করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় নিজেদের কাজের সফলতা ব্যর্থতা নিয়ে আত্ম-পর্যালোচনা করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো। 

মঙ্গলবার (মে ০৭) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উত্তর পর্যালোচনা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বিষয়ক সভায় নিজেদের কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি আগামীতে কিভাবে আরও সুসমন্বিতভাবে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায় সেবিষয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদসহ দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতরসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ‘ফণী’ মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত কার্যক্রম ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে ব্যাপক সাফল্যের কথা উল্লেখ করা হয় সভায়।

সবগুলো সংস্থার মধ্যে সু-সমন্বিত ব্যবস্থা থাকায় সফলতার সঙ্গে ফণী মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানানো হয় সভায়।

সভায় ভবিষ্যতে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে আরও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর সংস্কার, আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপত্তা, খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করা, কোন এলাকায় কত মানুষ সে অনুপাতে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, প্রাণী সম্পদ রক্ষায় তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা রেখে মুজিব কেল্লা নির্মাণ, বাঁধ সংস্কার ও নতুন বাঁধ নির্মাণ, ভাঙন, আবহাওয়া বিভাগে জনবল ও আধুনিক সরঞ্জামের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ দুর্যোগ মোকাবিলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট করে উৎক্ষেপণসহ দুর্যোগকালীন সময়ে তথ্য যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।

একই সঙ্গে ‘ফণী’ মোকাবিলার ক্ষেত্রে ছোট-খাট ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা হয়।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সফল কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বাংলাদেশের মতো এতো তড়িৎ গতিতে দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা আর কারও নেই।

‘ফণী’ আঘাতহানার সময় লন্ডন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নির্ঘুম’ রাত কাটিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ফণী মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন।  

বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, মানুষ ত্রাণ চায় না, তারা নিরাপদ বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্র চায়।

তিনি বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা পরিদর্শনে গেলে সেখানকার জনগণ বলে, আমরা ত্রাণ চাই না, আমরা বেড়িবাঁধের সংস্কার চাই। ভবিষ্যতের জন্য এগুলোর সংস্কার করে আরও উঁচু করে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এজন্য যতো দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব আমাদের বরাদ্দ দিতে হবে।

ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু স্যালেটাইট-২ হলে সেটাকে আবহাওয়া স্যাটেলাইট হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, যোগাযোগ হলো সমন্বয়ের মূল হাতিয়ার। এবার ‘অত্যন্ত সফলতার’ সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে।

বাঁধ সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, যতই ব্যবস্থা নিই না কেন মজবুত করে বাঁধ নির্মাণ করা না গেলে দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। বাঁধের সংস্কারের জন্য যতো দ্রুত বরাদ্দের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে ততো দ্রুতই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এমইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ