সোমবার (৬ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে তিন হাজার ৬০০টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনটি রওনা করে। সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের সামনে অবস্থান করবে স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি।
স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ১৮০০ মিটার। শুক্রবার (৩ মে) স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র কারণে তা বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ্মাসেতুর প্রকৌশলী জানান, সকাল ৯টা ১৯ মিনিটের দিকে স্প্যানটি যাত্রা শুরু করে। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে। নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর পর স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হবে কিনা সিদ্ধান্ত হবে।
পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
আরএ