সোমবার (৬ মে) সকালে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রংয়ের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যান ‘৫-এফ’ স্প্যানটিকে বহন করে নিয়ে যাবে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। স্প্যানবহনকারী ভাসমান ক্রেনটি ২০ ও ২১ নম্বর পিলারের কাছেই অবস্থান করবে।
রোববার (৫ মে) বিকেলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সোমবার সকালে ভাসমান ক্রেনের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে ‘৫-এফ’ স্প্যানটিকে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুইদিনের মধ্যেই স্প্যান বসানো হবে। নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল কখন বসানো যাবে।
২০ ও ২১ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ১৮০০ মিটার।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, পদ্মাসেতুতে ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৬২টি পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৩২টি পাইল ড্রাইভ এর কাজ চলমান আছে। ৪২টি পিলারের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ২৫টি পিলারের। বাকি ১৭টি পিলারের কাজও চলমান আছে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বসানো হয়েছে ১১টি স্প্যান, বাকি আছে ৩০টি স্প্যান বসানো। একাদশ স্প্যান বসানোর ১৪ কিংবা ১৫ দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে দ্বাদশ স্প্যানটি। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব কেটে যাওয়ায় আবার স্প্যান বসানোর সময় নির্ধারণ করলো সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
শরীয়তপুরের জাজিরায় এখন দশটি পিলারে (৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১ ও ৪২) ৯টি স্প্যান। এছাড়া মাওয়া প্রান্তে (১৩, ১৪ ও ৪, ৫) নম্বর পিলারে একটি স্থায়ী স্প্যান ও একটি অস্থায়ী স্প্যান বসানো হয়েছে। জাজিরায় স্প্যানগুলোতে রেলওয়ে স্ল্যাব ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ চলমান আছে।
পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২২টি স্প্যানের মধ্যে ১১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
আরএ