ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বিমানের দুর্নীতি ঢাকতেই সিবিএ নেতাদের হয়রানি'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৯
‘বিমানের দুর্নীতি ঢাকতেই সিবিএ নেতাদের হয়রানি' সংবাদ সম্মেলনে সিবিএ নেতারা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: শ্রমিক নেতাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা হয়রানি ও উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেছে বিমান শ্রমিক লীগ (সিবিএ)। বিমানের পরিচালনা পর্ষদ তাদের দুর্নীতি ঢাকতেই এই ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ তাদের।

শ্রমিক নেতাদের হয়রানি না করে বিমানের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটকারী দুর্নীতিবাজদের ধরার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।

রোববার (৫ মে) দুপুর আড়াইটায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন সিবিএ সভাপতি মো. মশিকুর রহমান।

 

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে শ্রমিকরা নায্য ও যৌক্তিক আন্দোলন করলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করার জন্য দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তৎকালীন এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন দুদকে ফাইল পাঠান। দীর্ঘ অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চলতি বছরের ৬ মার্চ অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় আবার সিবিএ নেতাদের রহস্যজনকভাবে বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক।

বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ইন্ধনেই দুদক বারবার সিবিএ নেতাদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ সিবিএ নেতাদের।

তদন্তের আগে যাতে কোনো ধরনের হয়রানি করা না হয়- দুদকের প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে মশিকুর রহমান বলেন, একই ব্যক্তিকে বারবার হয়রানির প্র্যাক্টিস করলে রেওয়াজে পরিণত হবে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সিবিএ কেন দায় নেবে।  

তিনি শ্রমিক নেতাদের হয়রানি না করে বিমানের রাঘব গোয়ালদের দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য দুদকের প্রতি আহ্বান জানান।  

সিবিএ সভাপতি বলেন, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়কে ভুল বুঝিয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে চাইছে। এটা সিবিএ কখনো মেনে নেবে না।  

যদিও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবীর সব দেশেই সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু বাংলাদেশেই শুধু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করে।  

মশিকুর রহমান বলেন, বিমানের দ্বৈতনীতি বিমানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এটা হয় পূর্ণাঙ্গ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে পরিচালনা করা হোক, না হয় সরকার করপোরেশনে ফিরিয়ে নিয়ে পরিচালনা করুক। বিমান নামে পাবলিক কোম্পানি, কিন্তু এখানে পাবলিক কোম্পানির কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয় না।  

বিমানের রাঘব বোয়ালদের দুর্নীতি ধরার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এ শ্রমিক নেতা বলেন, শ্রমিকরা কখনই দুর্নীতি করতে পারে না। তাদের দুর্নীতি করার কোনো সুযোগই নেই। তারা সর্বোচ্চ ডিউটি ফাঁকি দিতে পারে। কিন্তু কাজ ফাঁকি দিলে পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থা নিতে পারে। বিমানে দুর্নীতি করে শীর্ষ কর্মকর্তারা, কারণ এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। একটি উড়োজাহাজ কিনতেও ব্যাপক দুর্নীতি করার সুযোগ রয়েছে।  

মশিকুর রহমান আরও বলেন, বিমান উন্নতি করছে কিন্তু একটা গ্রুপ তা মেনে নিতে পারছে না। যদি শ্রমিক নেতাদের কণ্ঠরোধ করা হয় তাহলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে পারবে।  

সংবাদ সম্মেলনে সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মন্তাছুর রহমানসহ শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।