দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত এ নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই প্রান্তে আটকা পরে শত শত যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগের পড়ে যাত্রী, পরিবহণ ও শ্রমিকরা।
রোববার (৫ মে) সকাল ৬টা থেকে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপারভাইজার মোহাম্মাদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে দেশের প্রতিটি নৌবন্দরে সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। এ কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর রোববার সকাল ৬টা থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।
>> কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও নদীতে ঢেউয়ের সৃষ্টি হওয়ায় ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে গত ৩ মে (শুক্রবার) দুপুর ২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
তবে ঝড়ের প্রভাব কিছুটা কমে আসলে পরীক্ষামূলকভাবে দুই দফা ছোট আকারের ফেরি চলানো হয়। ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় শনিবার (৪ মে) মধ্যরাত থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সবধরনের ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয় বলেও জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা ঘাট শাখার সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার সকালে আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে গেলে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট লঞ্চ চলাচল শুরু করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
জিপি