ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে উপকূলবাসী

শফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৯
আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে উপকূলবাসী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে উপকূলবাসী। ছবি: বাংলানিউজ

পাথরঘাটা (বরগুনা): ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। ৭ নম্বর থেকে নামিয়ে ৩ নম্বর বিপদ সংকেত জারি রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে থাকায় জেলার ৩৩৫টি  আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে উপকূলবাসী।

শনিবার (৪ মে) বিকেল থেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করে দিয়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।  

আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ফণী দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

ফলে বাংলাদেশ এখন অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত। তবে ফণীর প্রভাব আরও ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা থাকতে পারে। রোববার (৫ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

শনিবার দুপুর থেকে পাথরঘাটার আকাশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বিকেল থেকেই উপকূলের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা। তবে কিছু কিছু জায়গায় আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা শনিবার রাতও থাকতে চায়।  

বিষখালী নদী সংলগ্ন উত্তরণ আবাসনের বাসিন্দা আবদুস ছোবাহান বাংলানিউজকে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটতে শুরু করায় আবাসনে ফিরে যাচ্ছি।  

জিনতলা গ্রামের বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আছি, রাত পর্যন্ত থাকবো।  

ফণীর তাণ্ডবে উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটায় কয়েকশ’ ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতশত গাছপালা। ঘর চাপা পড়ে দাদি নূরজাহান বেগম ও নাতি জাহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দিনগত রাতে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ারখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া আর বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।