শনিবার (৪ মে) ভোর রাত থেকে কয়েক ধাপে বয়ে যাওয়া ঝড়ে সদর উপজেলার কোড়ালিয়া বালিয়া, দৌলতখানের মদনপুর, মনপুরার কলাতলীর চর, চরফ্যাশনের ঢালচর ও লালমোহনের কচুয়াখালীর চরে দেড় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
কলাতলীর চরের বাসিন্দা আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ে নদীর তীরের ২০টি ঘর ভেঙে গেছে।
মদনপুরের বাসিন্দা লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুরো চরে অন্তত ১৫টি ঘর ভেঙে গেছে। কারও চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে আবার কারও পুরো ঘর ভেঙে গেছে।
কচুয়াখালীর বাসিন্দা নাছির বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ে ১০/১২টি ঘর ভেঙেছে। বেশিরভাগ মানুষের অবস্থা ভালো নয়।
ঢালচর থেকে রহমান বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ২০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন।
দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোড়ালিয়া, বালিয়া ও বেড়িবাঁধের অন্তত দেড় শতাধিক ঘর সম্পূর্ণ ও ৩০০ আশিংক ঘর বিধ্বস্তের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এখানে ঘরচাপা পড়ে মারা গেছেন এক নারী।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার শহীদ সালাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বাতাসে টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে ও ক্লাস রুমের ক্ষতি হয়েছে বলে স্কুল সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সদরের প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও নিহত পরিবারকে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এনটি