শনিবার (০৪ মে) সকাল থেকেই দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। গাছপালা ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার ভয়ে বাইরে বের হচ্ছেন না স্থানীয়রা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে।
তিনি আরও জানান, দু’দিন ধরে কখনও হালকা, কখনও মাঝারি আবার কখনও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শুক্রবার (০৩ মে) ভোর সোয়া ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সময়ে ৬২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই মৌসুমে এটিই জেলায় সর্বোচ্চ রেকর্ডকৃত বৃষ্টিপাত।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে মাইকিং ও সতর্কবার্তা প্রচারসহ করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, দমকা হাওয়ার প্রভাবে লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে গাছের ডালপালা পড়ে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফলে বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জরুরি সভা করাসহ সিভিল সার্জন অফিসে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে ফণী’র গতিবিধি লক্ষ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৩টি মেডিকেল টিমকে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এফইএস/এসএ