শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টা থেকে শনিবার (০৪ মে) সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, টানা বর্ষণের কারণে রাজশাহী মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে পড়েছে।
টানা দাবদাহের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় শুক্রবার সকাল ১০টা ৫ মিনিট থেকে। এতে প্রায় দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীতে চলমান দাবদাহ প্রশমিত হয়। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দিয়েছে নতুন দুর্ভোগ। এর ওপর ভুক্তভোগীরা মহানগরীর বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করেও কাউকে পাচ্ছেন না।
এ নিয়ে মহানগরীর সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাজশাহীর ওপর দিয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ অতিক্রম করার সময় বড় দুর্যোগ হলে কি অবস্থা দাঁড়াবে? তা নিয়ে এখনই বিভিন্ন শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে নগরবাসীর মধ্যে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় এরইমধ্যে রাজশাহীতে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব সরকারি ও আধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য দু’টি আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বর্তমানে রাজশাহীর দিকে এগিয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। শেষ পর্যন্ত এর গতিপথ ঠিক থাকলে সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া, নড়াইল ও ঝিনাইদহ হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। এরপর রাজশাহী ও রংপুর হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করার কথা রয়েছে। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিলোমিটার।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা ৫ মিনিট থেকে রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মাঝে মাঝে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে রাজশাহী মহানগরী ও এর আশপাশের এলাকায় বর্ষণ চলছে। থেমে থেমে তা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এসএস/জেডএস