পাউবো বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব অতিমাত্রায় দেখা দিলে পুরো ২৫ কিলোমিটার বাঁধ যে কোনো সময় ধ্বসে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে হুমকির মুখে পড়বে জনজীবন।
ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা ও রেশমির পর এবার ফণী উপকূলবাসীকে উৎকণ্ঠার মধ্যে রখেছে। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা। এসব দুর্যোগের ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে উপকূলের মানুষজন।
ঝূঁকিপূর্ণ বাঁধের মধ্যে ভোলা পাউবো ডিভিশন-২ এর তজুমদ্দিনে উপজেলার ১১ কিলোমিটার, লালমোহন উপজেলার ৩ কিলোমিটার, মনপুরা উপজেলার ১০ কিলোমিটার এবং চরফ্যাশন উপজেলার ৪ কিলোমিটার রয়েছে। এছাড়াও অতি মাত্রার ঝুঁকি বা দুর্বল অবস্থার মধ্যে রয়েছেন তজুমদ্দিনের কেয়ামুলা পয়েন্টে ৫০০ মিটার, মনপুরায় ৫শ মিটার ও লালমোহনের বদরপুর পয়েন্টে ৫০ মিটার বাঁধ।
এ বিষয়ে ভোলা পান উন্নয়ন বোর্ড পাউবো-২ নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম জানান, ২৫ কিলোমিটার বাঁধ পুরোটাই ঝুঁকিতে রয়েছে বলা যায়। অতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে ১ হাজার ৫০ মিটার। ফণী আঘাত হানলে পুরো এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকে মেঘনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে। মেঘনার পানি ১২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু নিচু এলাকা। তবে বেশির ভাগ এলাকাই বাঁধের বাইরের।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসএইচ