শুক্রবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার সাত উপজেলার ঘনবসতিপূর্ণ চরের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
তিনি বলেন, উপকূলের মানুষদের এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কাজ চলছে।
ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, নিরাপদ আশ্রয় পেতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে এসেছেন মানুষ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। উৎকণ্ঠিত এসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে অবস্থান করে আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখছেন। আরও অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে দেখা যাচ্ছিল।
এদিকে ঘূর্নিঝড় ফণীর প্রভাবে সকাল থেকেই দ্বীপজেলায় থেমে থেমে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো বাতাস বইছে। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. মাহাবুব রহমান জানান, ঘূর্নিঝড় ফনীর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কালো মেঘে ছেয়ে গেছে আকাশ। কখনও তীব্র বাতাসে ঠাণ্ডা লাগছে, আবার কখনও তীব্র গরম পড়ছে।
অন্যদিকে নদী ও সাগর উত্তাল থাকায়, শুক্রবার দুপুর থেকেই মেঘনার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসএ/