সংসারের দৈন্যদশা কাটিয়ে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এক মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তারা।
নিহতরা হলেন- মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মান্নান মাঝির ছেলে জামাল উদ্দিন মাঝি, শেখেরগাঁও গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে ইমদাদুল ও খিদিরপুর ইউনিয়নের দোমনমারা গ্রামের আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে মো. আল আমিন।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে জানা যায়, বুধবার সকালে রিয়াদ থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে শাকরায় ১৭ জন বাংলাদেশিকে বহনকারী একটি মিনিবাসের চাকা ফেটে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১০ বাংলাদেশি মারা যায়। তারা সবাই আল হাবিব কোম্পানি ফর ট্রেডিং কমার্শিয়াল কন্ট্রাক্টস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এদের মধ্যে তিন জনের বাড়ি নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায়।
এদিকে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংবাদ নিহতদের বাড়িতে পৌঁছার পর থেকে স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে আছে পরিবেশ। স্বজন হারানোর শোকে দিশেহারা তারা। তারা শিগগির নিহতদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত জামাল এর ভাই মো. কামাল বলেন, চার লাখ টাকা ঋণ করে মাত্র ২৯ দিন আগে সে সৌদি আরবে যায়। তার চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দেশে তরকারি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে বিদেশে পাড়ি জমান।
কিন্তু ভাগ্যে সইলোনা। টাকাও গেলো ভাইটাও গেলো। সঙ্গে আমাদের কপালও পুড়ল।
সবার ছোট ভাইকে হারিয়ে শোকাহত ইমদাদুলের ভাই মো. মোশারফ আহাজারি করছিলেন। তিনি বলেন, ৩৬ দিন আগে তাকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। এক মাস যেতে না যেতেই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর। তা মানতে পারছি না। সরকারের কাছে একটাই দাবি শিগগির যেন নিহতদের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করেন।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাফিয়া আক্তার শিমু দুর্ঘটনায় মনোহরদীর তিন জনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল নিহতদের বাড়িতে যাব। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করবো। নিহতদের মরদেহ শিগগির দেশে এনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
আরএ