ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বরগুনায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
বরগুনায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলার সাড়ে ৮ কিলোমিটার, বেতাগী উপজেলার সাড়ে ৪ কিলোমিটার, বামনা উপজেলার ১ কিলো ৯০ মিটার বেড়িবাঁধের কাজ অসমাপ্ত থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

শুক্রবার (০৩ মে) দুপুর থেকে বরগুনার নদ-নদী উত্তাল থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরনের নৌযান চলাচল।  

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বরগুনার বিষখালী নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

ফলে তলিয়ে গেছে বিষখালী নদী সংলগ্ন বরগুনা সদর, বেতাগী, বামনা ও পাথরঘাটার নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।  

জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনা সদর উপজেলার মাঝের চর, ডেমা, গুলিশাখালী, মানিকখালী, লবনগোলা, নাপিতখালী, পূর্ব বুড়িরচর, নলী, দক্ষিণ ডালভাঙ্গা, মাছখালী, বালিয়াতলী, ছোট বালিয়াতলী, বেতাগী উপজেলার-দক্ষিণ কালিকাবাড়ি, আলিয়াবাদ, উত্তর কালিকাবাড়ি, ভোড়া, আমতলী উপজেলার বৈঠাকাটা, পশুরবুনিয়া, জেলে পাড়া, কলাগাছিয়া, আমতলী পৌরসভার আম্মুয়ার চর, তালতলী উপজেলার খোটকারচর, তেতুলবাড়িয়া, নলবুনিয়া, আশারচর, সখিনা ও আমখোলা, পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের, কাকচিড়া, বামনা উপজেলার রামনা, তালেশ্বর এলাকার মানুষ জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার উৎকণ্ঠায় রয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ২ লাখ মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও বেড়িবাঁধের বাইরে আশ্রায়ন প্রকল্পের বসবাসরত লোকজন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।

বরগুনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ বিষখালী, পায়রা, বলেশ্বর ও বুড়িশ্বর নদীতে স্বাভাবিক অবস্থায় ২.৮৫ মিটার উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়। অমাবস্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩.১০ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিষখালী নদীর জোয়ারের পানি। যা বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল হান্নান প্রধান বাংলানিউজকে জানান, বরগুনা জেলায় ২২টি পোল্ডারে ৯০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে ১৬ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। শিগগিরই এসব বাঁধের কাজ শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।