ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ উপজেলার ৪০ হাজার মানুষ, উত্তাল সাগর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৯
আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ উপজেলার ৪০ হাজার মানুষ, উত্তাল সাগর প্লাবিত হচ্ছে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল

পটুয়াখালী: ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র প্রভাবে পটুয়াখালীতে দুপুরে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় বাতাসের গতিবেগ আগের থেকে বাড়তে শুরু করেছে। জেলার উপকূলীয়গুলো বাঁধ অরক্ষিত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হচ্ছে।

শুক্রবার (০৩ মে) প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণি কারণে উপকূলের জেলাগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত ও বরিশাল অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিকে সংকেত চলাকালীন পটুয়াখালীর নদী ও খালগুলোতে জোয়ারে পানি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি হয়েছে।

এসব এলাকায় অরক্ষিত বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে অন্তত ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল আল জাকির জানান, উপজেলার ৪নং দেউলি সুবিধা ইউনিয়নের মিন্দিয়াবাদ এলাকায় অরক্ষিত বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে কোনো গ্রাম বা বসতবাড়ি প্লাবিত হয়নি। শুধুমাত্র নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

কলাপাড়ার ইউএনও তানভীর আহম্মদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ থাকার কারণে লালুয়া ইউনিয়নে চারিপারা ও মহিপুরের নিজামপুর এলাকায় কিছু পানি প্রবেশ করেছে। যেটা অন্যান্য জোয়ারেও হয়ে থাকে।

এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশফাকুর রহমান জানিয়েছেন, মধ্য চালিতাবুনিয়া, চিনাবুনিয়া, গরুভাংগা এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। তবে এ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এ এলাকার লোকজন গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী এলাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অনেকে শহরে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সকাল থেকে কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন দীপ ও চরে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন।

বাংলানিউজকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হেমায়ত উদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ৬টি উপজেলার সব জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সক্ষম হবো। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও কমিউনিটি ভলান্টিয়ার এবং রেড ক্রিসেন্টসহ সব দফতর বা সংস্থা প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ