সিডরের প্রভাবে নদীতে পানি বেড়ে গিয়ে ডুবে, গাছের চাপায় ও ঘরের নিচে পড়ে মারা গেছে অসংখ্য মানুষ। ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।
আর এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন চরাঞ্চলের মানুষই। আইলার কথাও ভুলতে পারছেন না তারা। শিহরণ জাগায় ঘূর্ণিঝড় নার্গিস, হ্যারিকেন, মোরা’র নাম শুনলেই।
** ফণী: বরগুনায় বৃষ্টি শুরু, বইছে বাতাস
এবার ‘ফণী’ নামে ফের চোখ রাঙাচ্ছে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়। আবাহাওয়া অধিদফতর বলছে, যেকোনো সময় আঘাত হানতে পারে উপকূলে। এ কারণে জীবন বাঁচাতে নদীরপাড় ও চরাঞ্চলে বসবাস করা মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বরগুনা শহরে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয়ের জন্য আসা শুরু করেছেন।
শুক্রবার (৩ মে) সকালে সদর উপজেলার গর্জনবুনিয়া গ্রাম থেকে বরগুনা শহরের এক আত্মীয় বাড়িতে এসেছেন ফাতিমা বেগম ও তার পরিবার।
‘সিডরে’ চার বছর বয়সী কন্যা শাহিনুরকে হারিয়েছেন তিনি। সেই ভয় ও স্বজন হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তাই এবার আগেই এলাকা ছেড়েছেন তারা।
নিশানবাড়ীয়া চড়ের সুখী বেগম বলেন, আমার স্বামী সিডরে মারা গেছেন। আমি পরিবারের কাউকে আর হারাতে চাই না। সেজন্য ছেলে-মেয়ে নিয়ে প্রাণে বাঁচতে আত্মীয় বাড়ি বরগুনায় এসেছি। ঘূর্ণিঝড় কমলে আবার বাড়ি চলে যাবো।
বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, শুধু সাইক্লোন শেল্টার-ই নয়। মানুষের জীবন ও জানমাল রক্ষা করতে সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ভবনও প্রস্তুত করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বারবার মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
‘নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বরগুনায় ৩৩৫টি সাইক্লোন শেল্টার খুলে রাখা হয়েছে। এতে অন্তত ২ লাখ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হলে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ২২৬ বান্ডিল ঢেউটিন, ৪২৩ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য, নগদ ১৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা, দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার মজুদ রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
এমএ/