বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অডিটোরিয়ামে তাদেরই ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদন অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭২ বছর বয়সে কীভাবে একজন প্রধানমন্ত্রী এতো পরিশ্রম করেন, তা বিশ্বে বিরল।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, রাজউকের কর্মের পরিধি বেড়েছে, কিন্তু এতোদিন আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারিনি। আজ রাজউকের মাহেন্দ্রক্ষণের দিন। অনলাইনে সেবা চালুর মাধ্যমে বিশ্বে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে রাজউক।
শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন ধারণা নিয়ে আসলেন, এটা নিয়ে তখন অনেকে হাসাহাসি করলেন। পরে দেখা গেলো তারাও (খালেদা জিয়া) টুইটার অ্যাকাউন্ট এবং ইমেইল খুললেন। কিন্তু এটা যে ডিজিটাল পদ্ধতি, তা তারা বুঝেন না।
মন্ত্রী বলেন, এখন অনলাইনের দুনিয়া। সারা দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। আর এটা বাংলাদেশে প্রবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই মন্ত্রণালয় পিছিয়ে থাকবে কেনো। আমরা রাজউকে অনলাইনে সেবা চালু করেছি।
তিনি বলেন, আজকে অবসান হলো হয়রানির। আজ আমাদের জন্য মাহেন্দ্রক্ষণ। দেশের মালিক জনগণ, তাই মালিকের কাছে অধিকার ফিরিয়ে দিতে বা তাদের সেবা দিতে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, ক্ষমতা অর্থ-বিত্ত বড় নয়, জনগণের সেবা করা বড়।
রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব আখতার হোসেন ও ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজউকের সদস্য আমজাদ আলী খান, মো. সাঈদ নুর আলম প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বলেন, এখন থেকে নকশা ও ছাড়পত্র ম্যানুয়ালে থাকবে না। ঘরে বসেই এই সেবা নিতে পারবেন নাগরিকরা। এখন আর ফাইল টেবিলে টেবিলে ঘুরবে না। ভোগান্তি শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। অনলাইনে সেবা চালু করে বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো রাজউক।
তিনি আরও বলেন, মানুষ মনে করে রাজউক কাজ করে না। তাদের মাঝে ভুল ধারণা। কিন্তু সেবা পেয়েও নাগরিকরা বাইরে গিয়ে মিথ্যা নিন্দা করেন। রাজউকের কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টাই কাজ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
টিএম/টিএ