ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নিষেধাজ্ঞা শেষেও মেঘনায় দেখা নেই রুপালি ইলিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৯
নিষেধাজ্ঞা শেষেও মেঘনায় দেখা নেই রুপালি ইলিশ

চাঁদপুর: ইলিশের পোনা (জাটকা) রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সরকার। এসময় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার (৩০) এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার পর থেকে ইলিশ আহরণে নেমেছেন জেলেরা।

তবে রাত ও দিনে মেঘনা নদীতে বিচরণ করে রুপালি ইলিশের দেখা পাননি। এখনো কিছু কিছু জেলে ১০ ইঞ্চির নিচে জাটকাই আহরণ করছেন বলে জানা যায়।

বুধবার (১ মে) বিকেলে সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মৎস্য আড়তে গিয়ে দেখা যায়, একজন ব্যবসায়ীর আড়তে ছোট সাইজের কয়েকটি ইলিশ। সবগুলোর একত্রে দাম উঠেছে মাত্র ৫০০ টাকা। এভাবে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুরো আড়তে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।

হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার জেলে ইসমাইল মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, জাল, নৌকা ও নয়জন জেলে সকালের দিকে মেঘনায় নেমেছেন। মাত্র ছোট সাইজের সাতটি ইলিশ ও অন্যান্য মাছসহ বিক্রি করেছেন দুই হাজার ২০০ টাকা। তাদের জ্বালানিসহ খরচ হয়েছে তিন হাজার টাকা। নদীতে মাছ নেই। দীর্ঘ দুই মাস অবসর থাকার পরে ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও নদীতে নামতে হয়েছে। কিন্তু নদীতে মাছ নেই।
মেঘনায় দেখা নেই রুপালি ইলিশের
হরিণা ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বেপারী, ইউসুফ ও কালু হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ১০ থেকে ১২টি আড়ত থাকলেও মাত্র তিনজন আজ (বুধবার) মাছ ক্রয় করেছি। কারণ মাছের আমদানি নেই। ইলিশ নেই আনছেন পোয়া মাছ, পাঙ্গাসের পোনাসহ অন্যান্য মাছ। তাও খুবই সামান্য। মাছ না পাওয়ার কারণে অনেক জেলে নদীতেই নামছেন না। নদীতে মাছ থাকলে প্রতিদিন কমপক্ষে একজন ব্যবসায়ী দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মাছ বিক্রি করতেন।

চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় মাছের আড়ত বড়স্টেশন মাছঘাটের ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখনকার প্রায় ৫২টি আড়তে আনুমানিক পাঁচ মণ ছোট সাইজের ইলিশ আমদানি হয়েছে। এতে শ্রমিকের খরচও উঠবে না। কিছুক্ষণ পরপর জেলেরা মাছ নিয়ে আসেন তাও খুবই সামান্য।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সব ধরনের মাছ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারির সময় এক শ্রেণীর অসাধু জেলে নৌ-পুলিশের সঙ্গে ঘণ্টা হিসেবে চুক্তি করে জাটকাসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করেছেন। এসব কারণে নদীতে এখন মাছের দেখা মিলছে না।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাসুদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। বুধবার রাত ১২টার পর থেকে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। ইলিশ প্রাকৃতিক সম্পদ নদীতে থাকলে জেলেরা আহরণ করতে পারবেন। তবে বর্ষা মৌসুমে ইলিশের আমদানি বাড়বে।

>> নিষেধাজ্ঞা শেষ: জাটকা শিকার রোধে থাকছে কঠোর অবস্থান

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।