মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণে আহত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডিএমপি কমিশনার এ কথা জানান।
এসময় তিনি বলেন, যে ককটেলটি গতকাল বিস্ফোরিত হয়েছে, তা সাধারণ কোনো ককটেল নয়, অনেক শক্তিশালী ছিল।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, উগ্রবাদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে কোনো মহল উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই কাজটি করেছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঘটনাটি নিয়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দায় স্বীকারের বিষয়টিও পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্য কেউ আইএসের নাম দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে কি-না, তা-ও দেখা হচ্ছে। আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এন্টি টেরোরিজম বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তারা পরীক্ষা করে দেখছেন। বিস্ফোরণ হওয়া ককটেলটি সাধারণ ককটেল থেকে ভিন্ন ছিল। কাউন্টার টেরোরিজম বিস্ফোরণের ধরন, আহতদের ধরনসহ প্রয়োজনীয় এভিডেন্স সংগ্রহ করছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বৈশ্বিক যে উগ্রবাদের প্রভাব আছে সারাবিশ্বে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। তবে সংঘবদ্ধ বা বড় ধরনের নাশকতা করার ক্ষমতা তাদের নেই। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলার পর তাদের বিধ্বস্ত করা হয়েছে। কখনও কখনও তারা বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর অপচেষ্টা করেন, সেগুলো আমরা নজরদারিতে রাখছি। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য, দেশের মানুষ রক্ষার জন্য যেকোনো নৈরাজ্য উগ্রবাদ রুখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এছাড়া ঘটনাটিতে আদৌ জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা কি-না, না-কি সাধারণ অপরাধীরা এটি করেছে, না-কি তৃতীয় কোনো মহল এটি করতে পারে, বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আছাদুজ্জামান মিয়া। এছাড়া এ ঘটনার পর ট্রাফিক পুলিশদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
সোমবার রাতে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের দক্ষিণ পাশে একটি শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ককটেল বিস্ফোরণে ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্য ও কমিউনিটি পুলিশের এক সদস্য আহত হন। মঙ্গলবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই দুই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে দেখতে যান ডিএমপি কমিশনার। সেখানে তিনি তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তাদের প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান রয়েছে তার।
বাংলাদেম সময়: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এজেডএস/টিএ