মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার আলী আকবর ডেইল ফতেয়ালি সিকদারপাড়া সংলগ্ন লুইজ্জার বিলে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশিয় তৈরি বন্দুক, ৪০০ পিস ইয়াবা ও চার রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুইজন হলেন- উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের শাহা আলম সিকদারপাড়ার মৃত মৌলভী সৈয়দুল আলমের ছেলে এরফান হোসেন প্রকাশ এরফান মাঝি (৩২) ও লেমশীখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ লেমশীখালীর ছামিরাপাড়ার এনামুল হকের ছেলে নুর হোসেন (২৬)।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দস্যু এরফানের বিরুদ্ধে হত্যা, দস্যুতা, অস্ত্র, মাদকসহ সাতটি মামলা এবং নুর হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মাদকের মামলা রয়েছে।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদাউস বাংলানিউজকে বলেন, ভোরে লুইজ্জার বিলে দুই দল দস্যুর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গুলিবিনিময় শুরু হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
এসময় বিল সংলগ্ন রাস্তার পাশে দুই ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা পালাতে থাকেন। এসময় পুলিশ তাদের পিছু নিলে একপর্যায়ে তাদের ওপর গুলি ছোড়েন দস্যুরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ৩৫ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। পরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি কাটা বন্দুক, চারটি রাইফেলের গুলির খোসা ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ দুইজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত দুইজনের মধ্যে এরফান মাঝি উপকূলের ত্রাস হিসেবে পরিচিত। অন্যজন তার সহযোগী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এসবি/টিএ