সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের গ্রীন চ্যানেল অতিক্রমের পর তাকে আটক করা হয়। আটক যাত্রী পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বাসিন্দা।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আটক যাত্রী ব্যাংকক থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি-৮৯) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকায় পৌঁছান। বিমান থেকে নামার পর বোর্ডিং ব্রিজ থেকে তাকে অনুসরণ করা হয়। গ্রীন চ্যানেল অতিক্রমের পর তার কাছে শুল্ক কর আরোপযোগ্য পণ্যের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি অস্বীকার করেন। এরপর আর্চওয়ে মেশিনের মাধ্যমে চেকিং করা হলে তার পরিহিত প্যান্টের মধ্যে ধাতব পদার্থের সংকেত পাওয়া যায়। পরে তার পরিহিত প্যান্টসহ সঙ্গে থাকা আরও পাঁচটি প্যান্ট ও ব্যাগের বিভিন্ন অংশে লুকায়িত অবস্থায় ‘রিং’ আকৃতির ধাতব পদার্থ পাওয়া যায়। রিংগুলোতে সিলভার প্রলেপ দেয়া ছিল। পরে সে প্রলেপ সরিয়ে ফেললে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। 
তিনি বলেন, প্যান্টগুলোতে রিংগুলো বিশেষ ভাবে তৈরি গোলাকৃতির ক্যাপের মধ্যে লুকানো ছিল। যেগুলো আলাদা করতে দীর্ঘসময় লাগে। প্রতিটি প্যান্টই সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত পোশাকের আদলে তৈরি। আটককৃত স্বর্ণের মোট ওজন তিন কেজি ২৫০ গ্রাম। এগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আটক ব্যক্তিকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান অথেলো চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৯
এমএমআই/এসএ
