ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ডিএনসিসি’র সেরা ওয়ার্ড পাবে মেয়র-মুজিব বর্ষ অ্যাওয়ার্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
ডিএনসিসি’র সেরা ওয়ার্ড পাবে মেয়র-মুজিব বর্ষ অ্যাওয়ার্ড মতবিনিময় সভা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মশক নিয়ন্ত্রণ, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমসহ অন্যান্য নাগরিক সেবায় উৎসাহ বাড়াতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সেরা ওয়ার্ডকে এখন থেকে প্রতি বছর মেয়র অ্যাওয়ার্ড ও সর্বোত্তম নাগরিক সেবা দেওয়ার জন্য ২০২০ সালে মুজিব বর্ষ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরে ডিএনসিসির নগর ভবনে ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।  

এসময় সভায় ডিএনসিসির কাউন্সিলর, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন সোসাইটির নেতারাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চল ও ওয়ার্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করে মতবিনিময়, অবহিতকরণ সভা ও প্রচারণা চালানো হবে। সামাজিকসহ সব গণমাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে ইতোমধ্যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তাছাড়া জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রচারাভিযান শুরু করা হবে। প্রতিটি অঞ্চলে র‍্যালি, মশক কর্মীদের উদ্বুদ্ধকরণ, ইমামদের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা, কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসেও প্রচারণা চালানো হবে।

ডিএনসিসির নাগরিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ডিএনসিসির সবাই এগিয়ে এলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথি লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে শতকরা ৯০ শতাংশ কাজ জনগণের। মেয়রকে সবাই সহযোগিতা করলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। আমাদের তরুণ সমাজসহ সবাইকে এতে সম্পৃক্ত করতে হবে’।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা ডিএনসিসির পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জমান, কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, মশা গবেষক অধ্যাপক কবিরুল বাশার, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক মিরজাদা সেবরিনা ফ্লোরা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদ আখতার হোসেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা, কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এমআইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।