প্রতিবছর বৈশাখ মাস থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত কমলনগরের মেঘনা নদীতে একটি অসাধু চক্র চিংড়ি পোনা শিকার করে। চিংড়ি পোনা ধরতে নদীর তীরে মশারি জালের ফাঁদ পাতে তারা।
কমলনগরের মাতাব্বরহাট এলাকায় নদীর তীররক্ষা বাঁধের এক কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন রোধে জিও ডাম্পিং করা হয়েছে। জোয়ারের সময় ওই অংশে নিবিঘ্নে চিংড়ি পোনা ধরতে না পারায় জিও ব্যাগ কাটছে চক্রটি। এতে বের হয়ে যাচ্ছে ব্যাগের বালু। যে কারণে বাঁধ হুমকির মুখে পড়ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় চিংড়ি পোনা শিকারিরা নদীর তীরে মশারির জাল দিয়ে পোনা ধরছেন। এলোমেলো ব্যাগের ওপর নিবিঘ্নে জাল টানতে না পারায় তারা ব্যাগ কাটছেন ও ফুটো করে বালু বের করে দিচ্ছেন। এছাড়াও ব্যাগের ওপর দিয়ে শত শত শিকারিরা চলাফেরা করতে করতেও ছিঁড়ছেন ব্যাগ। এমন পরিস্থিতির কারণে বাঁধে ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুদ্দিন আজম ও যুবলীগ নেতা আবুল বাসেত বাংলানিউজকে বলেন, চিংড়ি পোনা ধরতে গিয়ে একদিকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস করা হচ্ছে। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তীররক্ষা বাঁধ। বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফুটো করায় ও কেটে দেওয়ায় জোয়ারের আঘাতে বালু বের হয়ে যাচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে নদী তীররক্ষা বাঁধ। বাঁধ ধসলে বাড়বে ভাঙন, বিলীন হবে বিস্তৃর্ণ এলাকা।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ভাঙন ঠেকাতে নদীতে তীররক্ষা বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এ বাঁধের ক্ষতি হতে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এসআর/আরবি/