ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাঝখানে খুঁটি রেখেই চলছে সড়ক নির্মাণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
মাঝখানে খুঁটি রেখেই চলছে সড়ক নির্মাণ রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে সড়ক উন্নয়নের কাজ। ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই নীলফামারীতে চলছে ৫০০ মিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন হাজির বাড়ি থেকে খামার গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে পল্লী বিদ্যুতের একটি খুঁটি রেখেই সড়কের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।

যানবাহন চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে থাকা এ বৈদ্যুতিক খুঁটিটি। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।  

স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম আজাদ ও পল্লী বিদ্যুতের কিশোরগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজারের কাছে খুঁটিটি সরানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।  

ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হাসিবুজ্জামান হাসিব জানান, গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন হাজির বাড়ি থেকে খামার গাড়াগ্রাম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫০০ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সড়ক নির্মাণের কাজ করছেন নীলফামারী জেলা শহরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক ডাবলু শাহ।  

সড়কটির নির্মাণ কাজে বক্স-কাটিং শেষে ইটের খোয়া ফেলে সেগুলো রোলার দিয়ে সমান (ডব্লিউভিএম) কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি রয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার ডাবলু শাহ বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক থেকে খুঁটিটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুতের কিশোরগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের এজিএমকে বলেছি।  

একই কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম কেরামত আলী নান্নুও। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, খুঁটিটি সরানোর বিষয়ে আমিও পল্লী বিদ্যুতের সঙ্গে কথা বলেছি।  

এ বিষয়ে ইউএনও আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়ক থেকে বিদ্যুতের খুঁটিটি সরানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে।  

তবে খুঁটিটি সরানোর বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার কাজী মো. সেফাত রেজা ইবনে হক বাংলানিউজকে বলেন, খুঁটিটি সরাতে গেলে অনেক খরচ লাগবে। ঠিকাদার খরচ বহন করতে না চাওয়ায় খুঁটিটি সরানো সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ওই ওয়ার্ডের মেম্বার খরচের ব্যবস্থা করতে চেয়েছেন। তিনি খরচ জমা দিলেই খুঁটিটি সরানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।