ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংসদে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল’ পাস

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৯
সংসদে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল’ পাস

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: উদ্ভিদের বীজ সংক্রান্ত কোনো মিথ্যা তথ্য দিলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রেখে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল ২০১৯’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

বিলের শর্ত অনুযায়ী উদ্ভিদের নতুন জাত উদ্ভাবন, উদ্ভাবিত কোনো জাত বা বীজ নিয়ে একতরফা বাণিজ্যের অপব্যবহার রোধ ও বাণিজ্যিক কারণে কোনো জাত বা বীজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজারজাত করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিলটি পাস হয়।

বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। এর আগে বিলের উপর আনীত একটি সংশোধনীসহ বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এই বিলে স্থানীয় জনপ্রিয় জাতগুলোকে বিলুপ্তি থেকে সুরক্ষার বিধানসহ উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের জন্য কৃষককে আর্থিক পুরস্কার ও ‘স্বীকৃতি সনদ’ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি সংরক্ষিত জাতের ভুল নাম ব্যবহার করলে বা জাতের উৎপাদনের দেশ, স্থান, প্রজননবিদের নাম ঠিকানা মিথ্যা বা বিকৃত করে বিক্রি, প্রদর্শন সংরক্ষণ করলে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কোম্পানির ক্ষেত্রে কোম্পানির মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।

বিলে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিলে কৃষক ও প্রজননবিদের অধিকার রক্ষায় ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রজননবিদ বা কৃষকের উদ্ভাবিত জাত ও জিএমওকে ‘সংরক্ষিত জাত’ হিসেবে নিবন্ধন করবে। উদ্ভিদের প্রজাতি নির্ধারণও এ কর্তৃপক্ষের কাজ হবে। বিলে রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচের বিষয় জড়িত থাকা সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষিক্ষেত্রে মেধাস্বত্ত্ব অধিকার সংরক্ষণের জন্য ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯ 
এসকে/এমইউএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।