ঘটনার পর থেকে চাঁদনীর স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর খানেক আগে পাঁচখোলা গ্রামের আবুল হাওলাদারের মেয়ে চাঁদনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বিয়ে হয় জাজিরা গ্রামের বাবুল ফকিরের ছেলে রিয়াদের।
নিহত চাঁদনীর বাবা আবুল হাওলাদার বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মারধর করতো তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সকালে জানতে পারি আমার মেয়েকে মেরে ওর স্বামীর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য দুলুফা বেগম বলেন, নিহত গৃহবধূর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের নীচের অংশেও জমাট বাধা রক্তের দাগ দেখা গেছে।
মাদারীপুর সদর থানায় উপ পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বলেন, আমরা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের পরে বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা হলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
আরএ