ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জঙ্গিবিরোধী গণসংযোগ শুরু ডিএমপির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
জঙ্গিবিরোধী গণসংযোগ শুরু ডিএমপির

ঢাকা: জঙ্গিবাদ বিরোধী জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগ শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) শুরু হওয়া এ ‘গণসংযোগ সপ্তাহ’ চলবে আগামী ৪ মে পর্যন্ত।

গণসংযোগ সপ্তাহ সফল করতে ডিএমপি’র ৫০টি থানায় সংশ্লিষ্ট বিট অফিসাররা এলাকাবাসীকে নিয়ে উঠান বৈঠক করবে।

ডিএমপি জানায়, কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে সভার আয়োজন করা হবে। পাড়া-মহল্লার পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সভার আয়োজন করা হবে। সভায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূলে পুলিশের পদক্ষেপ ও জনগণের করণীয় বিষয়ের ওপর আলোচনা চলবে।

ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং বাংলাদেশে ইতোপূর্বে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার পেছনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষঙ্গ রয়েছে যার ব্যাপ্তি ও পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এ রকম একটি সমস্যা শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নিরসন করা সম্ভব নয়।

সর্বসাধারণের ব্যাপক এবং সক্রিয় অংশ গ্রহণের মাধ্যমেই একটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব। এ লক্ষ্যে ডিএমপিতে ৩০২টি বিটকে সক্রিয় রেখে ও ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণে সপ্তাহব্যাপী চলবে এ গণসংযোগ।

উগ্রবাদ প্রতিরোধে পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা, গণমাধ্যম, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির সদস্যরাসহ কমিউনিটির প্রত্যেকের কার্যকর ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

নগরবাসীর কর্তব্য প্রসঙ্গে ডিএমপি জানায়, পরিবার থেকে সন্তানদের নৈতিকতা, মানবিকতা, সহনশীলতা ও সহাবস্থানের চর্চা শেখানো। দেশপ্রেম, বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণদের উদ্বুদ্ধ করা। সব মাধ্যমের শিক্ষা ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে অন্তর্ভূক্ত করা। খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও উগ্রবাদ বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করা। পাড়া-মহল্লায় ক্লাব, পাঠাগার, ক্রীড়ানুষ্ঠান ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের সুবিধা নিশ্চিত করা। প্রাপ্তবয়স্ক না হলে সন্তানদের ব্যক্তিগতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের আচরণগত পরিবর্তনের প্রতি লক্ষ্য রাখা ও অভিভাবকের সঙ্গে মতবিনিময়। পরিবারের সদস্য বিশেষ করে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করা, ছোটবেলা থেকেই ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা নিয়ে আলোচনা ও ধর্মের ইতিবাচক দিক তুলে ধরা। মিডিয়াতে ব্যাপক হারে উগ্রবাদ বিরোধী প্রচারণা চালানো এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করা। ইমাম ও খতিবদের উগ্রবাদের বিপক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় উদ্বুদ্ধকরণ। আন্তঃধর্মীয় মানুষের পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়।

এছাড়া নিজ পরিবারের কোনো সদস্যের বা সন্তানের বিশেষ কোনো পরিবর্তন ঘটছে কি-না খেয়াল রাখার পপাশাপাশি বাসাবাড়ির মালিকদের ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে সজাগ থাকার অনুরোধ করেছে ডিএমপি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad