শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্গা গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী পপি আক্তার (২৪)।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় চার বছর আগে আবু তাহেরের সঙ্গে পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের হাজী আব্দুস সোবহানের মেয়ে পপি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পপির কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার ও নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
নিহত পপির বাবা বাড়ির লোকজনের অভিযোগ পপির স্বামী আবু তাহের, শাশুড়ি ও ননদ মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে ময়নাতদন্ত ছাড়া হত্যার কারণ বলা যাচ্ছে না। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এক বছর আগে এক প্রবাসীর সঙ্গে মোবাইলে বিয়ে হয় লুবনার। বিয়ের পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে স্বর্ণের নাকফুল ও রিং হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট বোন লাভলি আক্তারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে পাখি মারার ওষুধ (বিষ) সেবন করে লুবনা। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ পপি আক্তার নিহত হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৯
আরএ