শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে ঢাকার উত্তরা থানার বায়তুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর বিকেলে নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বিষয়টি জানান।
রায়হান মিয়া একই উপজেলার বাহারদিয়া গ্রামে আব্দুল বাছেদ মিয়ার ছেলে।
মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব বলেন, গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় রায়হান চার বছরের শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। তখন শিশুটি চিৎকার করলে শিশুটির দাদীসহ আশেপাশের বাড়ির লোকজন চলে আসলে রায়হান পালিয়ে যান। পরে শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করলে সে পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে রাতেই শিবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরদিন সকালে নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুটির দাদা বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে ঢাকার উত্তরা থানার বায়তুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান ধর্ষণের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে শিবপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এনটি