ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় উবার চালক আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় উবার চালক আটক

ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য নিহত হওয়ার ঘটনায় উবার মোটরসাইকেলচালক সুমন হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় ওই বাসার নিচতলার গ্যারেজ থেকে লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও (ঢাকা মেট্রো হ ৩৬-২৩৫৮) জব্দ করা হয়েছে।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

আটক সুমনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে রাজধানীর কলেজ গেটে অবস্থানকালে ৫ মিনিটের দূরত্বে অবস্থানকারী একজন উবার ইউজার রিক্যুয়েস্ট পেয়ে সুমন তাকে ফোন দেন। উবার ইউজার লাবণ্য খিলগাঁও ছায়াবীথি মসজিদের সামনে যেতে চান জানিয়ে সুমনকে শ্যামলী ৩ নম্বর রোডের ৩১ নম্বর বাসার সামনে আসতে বলেন।

কথা অনুযায়ী নির্ধারিত বাসার সামনে থেকে লাবণ্য সুমনের মোটরসাইকেলে ওঠেন। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র একজন লোককে মোটরসাইকেলের সামনে দৌড়ে রাস্তা পার হতে দেখে হঠাৎ ব্রেক করেন সুমন। এতে লাবণ্য মোটরসাইকেলের ডানদিকে পড়ে যান। এসময় একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়।

এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, মোটরসাইকেলচালক সুমনের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি চালক হিসেবে তার অবহেলা বা ইচ্ছাকৃত ভুল ছিলো কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোটরসাইকেলটি কেনার সময় এবং উবার চালক হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের সময় তিনি যে ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন তা সঠিক ছিলো না।

ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটির চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নিহত ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর পথচারীরা লাবণ্যকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর থেকেই তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলচালক সুমনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মোটরসাইকেলসহ তিনি পালিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার সময়ও তিনি ভুল ঠিকানা উল্লেখ করেন।

আটক সুমন বর্তমানে শেরেবাংলা নগর থানার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯ 
পিএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad