চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের আকসু শহরের জিংশুই রোডে অবস্থিত ইয়াংবাঝা কেজি স্কুল।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, শিশুদের বিভিন্নভাবে শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি।
স্কুলের বারান্দায় ও সিড়িতে শিক্ষার্থীদের নিজেদের আকা ছবি টানানো রয়েছে। বারান্দায় শিশুরা ছোট ছোট স্টল দিয়েছে। সেখানে কেউ চা বানিয়ে বিক্রি করছে। আবার কেউ পিঠা তৈরি করছে। কেউবা রুটি তৈরি করছে। আর এসব দোকানের ক্রেতারাও ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। তারা কাগজের টাকা দিয়ে এসব জিনিস কিনছে। তবে চা, রুটি, পিঠা ইত্যাদি কিভাবে তৈরি করতে হবে সেটা স্কুলেই শেখানো হয়। এসব তৈরি করতে শিশুরা আনন্দ পায় বলেও জানালেন শিক্ষকরা।
স্কুলের মাঠের এক কোণে দেখা গেলো বড় কয়েকটি খাচা। সেসব খাঁচায় রয়েছে খরগোশ, মুরগিসহ আরও কয়েকটি পশুপাখি। এসব পশুপাখিদের কিভাবে যত্ন নিতে হবে, সেটাও শিক্ষা দেওয়া হয় চীনা শিশুদের। মাঠের এক পাশে দেখা গেলো বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি লাগানো হয়েছে। এসব শাকসবজির চারা কিভাবে লাগাতে হয়, বড় করতে হয়, সেটাও শেখানো হয় তাদের। মাঠের আরেক পাশে ছোট্ট একটি কৃত্রিম পাহাড় তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ে কিভাবে চড়তে হয়, সেটাও শেখানো হয়।
স্কুলের পরিচালক (প্রধান শিক্ষক) চিয়েন ইয়েতেং সাংবাদিকদের জানান, শিশুরা যেন স্কুলে এসে আনন্দ পায়, সে জন্যই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আনন্দের মাধ্যমেই শিশুরা শিক্ষা লাভ করুক। প্রতিটি শিশুই যেন স্কুলের শিক্ষা উপভোগ করতে পারে, সেদিকেই আমাদের নজর রয়েছে।
স্কুলটি ২০১০ সালে চীন সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে ৫০০ জন শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক একটি স্কুল।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
টিআর/এসআরএস