বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ডিএমপি সদর দফতরে রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিশেষ সমন্বয় সভায় এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
আসন্ন রমজান ও ঈদ ঘিরে ডিএমপি গৃহীত নিরাপত্তা সম্পর্কে কমিশনার বলেন, অতীতের মতো এবারও রমজান ও ঈদে ঢাকা মহানগরীজুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন মার্কেট শপিংমলে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। পাশাপাশি মার্কেটের নিরাপত্তার জন্য মার্কেট মালিক সমিতিকে সিসিটিভি, আর্চওয়ে, নিজস্ব সিকিউরিটি, এক্সেস কন্ট্রোল মেশিনসহ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
নগদ টাকা পরিবহনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে কমিশনার বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের টাকাসহ মোটা অংকের টাকা পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশের মানি এস্কর্ট সেবা নিন। পুলিশের মানি এস্কর্ট ছাড়া মোটা অংকের টাকা এক জায়গা থেকে অন্যত্র নেবেন না। মানি এস্কর্টের প্রয়োজন হলে কাছের থানায় যোগাযোগ করুন।
রমজানে যানজট সহনীয় রাখার বিষয়ে কমিশনার বলেন, রমজানে জনসাধারণ যাতে নিরাপদে ইফতারের আগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে লক্ষ্যে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কাজ করবে।
ঈদের আগে প্রতিটি গার্মেন্টস-ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র প্রতি আহ্বান জানান কমিশনার।
ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাস মালিক সমিতিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ড্রাইভারের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে গাড়ি টার্মিনাল থেকে বের করতে হবে। লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবে না। বাস মালিক সমিতি ও পুলিশের সমন্বয়ে টিকিট কালোবাজারিদের প্রতিরোধ করা হবে।
রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ওয়াসাসহ অন্য সেবাদানকারী সংস্থাকে নতুন করে কোনো রাস্তা না খুঁড়তে ও পুরাতন খোঁড়া রাস্তা দ্রুত মেরামত করার অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থা, দোকান মালিক সমিতি, বাস-মালিক সমিতি, লঞ্চ মালিক সমিতি, বিজিএমইএ বিকেএমইএ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
পিএম/এএ