বুধবার (২৪ এপ্রিল) অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দেয় মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জেলার বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়- সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস।
এ পরিস্থিতিতে দিনের শুরুতেই ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হওয়া মানুষ। প্রধান সড়কগুলোতে কিছু অটোরিকশা চলাচল করলেও অফিসগামী যাত্রী আর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যানবাহনের আশায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে প্রতিটি মোড়ে। অনেকে পায়ে হেঁটে আবার অনেকেই অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
আসিফ আল মাহি নামে এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানায়, সকাল ১১টায় আমার স্কুলে পরীক্ষা। প্রায় ঘণ্টা খানেক গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে বাস না পেয়ে কোনোমতে অটোতে করে পঞ্চগড়ে আসছি। তবে দূর গ্রামে থাকা বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এখনো স্কুলে আসতে পারেনি।
কবির হোসেন নামে একজন বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধে আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। জানতেও পারিনি যে শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছে। অনেক কষ্টে অফিসে যেতে হচ্ছে।
এদিকে পঞ্চগড় মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, হত্যাকারীকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
আরএ