বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে ১১ দফা দাবি সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে অনশনে বসে থাকা শ্রমিকদের জুস ও পানি খাইয়ে অনশন ভাঙালেন বাংলাদেশ গর্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কে এম মিন্টু।
এর আগে, সোমবার বিকেলে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অনশনে বসেন মাহমুদুল হাসান হৃদয়।
অনশনে যোগ দেওয়া অন্য শ্রমিকরা হলেন- হালিমা, রেজিনা, জেসমিন, নিলুফা, বাকি বিল্লাহ, তসলিমা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন। তারা সবাই রানা প্লাজা ধসে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
তাদের ব্যানারে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো ছিলো-রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ৪৮ লাখ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, আজীবন চিকিৎসা প্রদান, ঘটনার দিনটিকে শোক দিবস ঘোষণা, হতাহত ও নিখোঁজ পরিবারের শিশুদের লেখাপড়া নিশ্চিত, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, আসামিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, আহত উদ্ধারকর্মীদের চিকিৎসা, স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, হতাহত পরিবারের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
অনশনরত হৃদয় বুধবার দুপুরে জানিয়েছিলেন, রানা প্লাজার ৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি নিজ উদ্যোগেই ধসে পড়া স্মৃতি বিজড়িত ভবনের সামনে অনশনে বসেছেন। তবে যতদিন পর্যন্ত তার ১১ দফা দাবি পূরণ না হয় তিনি এই অনশন চালিয়ে যাবেন। আর যদি কেউ তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অনশনে বসতে চান তাহলে এতে তার কোনো আপত্তি নেই। পরে তার সঙ্গে একে একে আরো সাতজন আহত শ্রমিক একাত্মতা প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ গর্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কে এম মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তাদের সবগুলো দাবি নিয়ে আগামী তিন মাসের ভেতরে সমাধানের ব্যবস্থা করবো। দাবিগুলো যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা সব শ্রমিক সংগঠন মিলে বড়ভাবে কর্মসূচি পালন করবো।
বাংলাদেশে সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
আরএ