বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোপালপুর আমলী আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, আসামি আল আমিনের মা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এরআগে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম থেকে আল আমিনকে আটক করে র্যাব। ওই দিন বিকেলে ওই কিশোরী টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন মাহবুবের কাছে ২২ ধারার জবানবন্দি দেয়। বর্তমানে ওই কিশোরী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ডাক্তারি পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদেকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আদালতে আসামি আল-আমিন ও তার ভাইয়ের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। পরে আদালত তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পাকিস্তান থেকে মায়ের সঙ্গে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। এরপর তার চাচাতো ভাই আল আমীন ওই কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে ১৭ এপ্রিল মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ আল আমিনের মাকে গ্রেফতার করে। পরদিন তার দেওয়া তথ্যে জামালপুরের সরিষাবাড়ির মহিষাকান্দি গ্রাম থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এনটি