ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রানা প্লাজার দোষীদের শাস্তির দাবিতে কাফন মিছিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
রানা প্লাজার দোষীদের শাস্তির দাবিতে কাফন মিছিল ফুল দিয়ে রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি

সাভার (ঢাকা): রানা প্লাজা ধসের ৬ বছর পূর্তি বুধবার। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ধসে পড়েছিলো রানা প্লাজা। প্রতি বছরের মতো এবারেও রানা প্লাজায় স্বজন হারানো শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা এসেছিলেন সেই মৃত্যুকূপের সামনে। নিহত শ্রমিকদের সন্তান-স্বামী-স্ত্রী কিংবা ভাই-বোন এসেছিলেন ৬ বছর আগের স্মৃতিকে খুঁজতে। 

গত ৬ বছর ধরেই শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা বারে বারে এখানে এসেছেন, কখনো বিচার চেয়ে, কখনো ক্ষতিপূরণের দাবিতে। বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি নিহত-নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রতি মাসের ২৪ তারিখ বা তার আশেপাশের ছুটির দিনে রানা প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতিবছরের মতো এবারেও সোহেল রানাসহ সকল দোষীদের শাস্তির দাবিতে কাফন মিছিল করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।  

হার্টিকালচার সেন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাফন মিছিল সাভারের রাজপথ প্রদক্ষিণ করে রানা প্লাজার স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

রানা প্লাজায় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্তি পথ সভায় তাসলিমা আখতার বলেন, সারা দুনিয়ার কারখানার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শ্রমিক হত্যার ঘটনা ঘটে রানা প্লাজায়, প্রায় ১১৭৫ জনের অধিক শ্রমিক নিহত হন। প্রায় আড়াই হাজার আহত শ্রমিককে জীবিত উদ্ধার করা হয় যাদের একটি বড় অংশ স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, স্থায়ী ট্রমায় আক্রান্ত হয়ে অকর্মন্য হয়ে পড়েছেন। কিন্তু এত প্রাণ হত্যার পরেও ২৪ এপ্রিলকে যথাযথ মর্যাদায় আজো পালন করা হয় না রাষ্ট্রীয়ভাবে। বিজিএমইএ বা মালিকদের পক্ষ থেকে ন্যূনতম শ্রদ্ধাও প্রদর্শন করতে আসে না। ৪৪ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক এ দিনকে শোক ও শ্রমিক নিরাপত্তা দিবস হিসেবে পালন ও সকল কারখানায় ছুটি দাবি করলেও তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি, রানা প্লাজার জায়গাকে অধিগ্রহণ করে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার। কিন্তু কোনো স্মৃতিস্তম্ভ তো নির্মাণ করা হয়নি, উপরন্তু রানা প্লাজার ভূমি আজ বেদখল হতে বসেছে। চারপাশের সীমানা ঠেলে ভেতরে চলে আসছে।

তাসলিমা আখতার আরো বলেন, বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের ইতিহাসে আজ পর্যন্ত মালিকের অবহেলায় যতগুলো দুর্ঘনা ঘটেছে আজ পর্যন্ত তার একটিরও বিচার হয়নি। সকল ক্ষেত্রে অবহেলা অব্যবস্থাপনায় কাঠামোগত শ্রমিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রানা প্লাজা এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে নির্মম, সবচেয়ে প্রাণধ্বংসী। ১১৭৫ জন শ্রমিক হত্যার ঘটনার পরও সোহেল রানা, কারখানাগুলোর মালিক, ভবন পরিদর্শক, অনুমোতি দাতা কারোই বিচার হয় নাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ