ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১০ বছর ধরে সিপিডি শুধু দোষই খুঁজেছে: হাছান মাহমুদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
১০ বছর ধরে সিপিডি শুধু দোষই খুঁজেছে: হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: গত ১০ বছর ধরে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) শুধু দোষই খুঁজে বেড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

মানুষের মাথাপিছু আয় তিন গুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৬০০ ডলার ছিল। যা এখন দুই হাজার ডলারে পৌছেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দ্বিগুণেরও বেশি। সব মিলে ক্রয় ক্ষমতা দুই থেকে আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, গত ১০ বছর ধরে সিপিডি শুধু দোষই খুঁজে বেড়িয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তারা বাজেটের আগে একবার দোষ খুঁজে, বাজেটের পরে একবার। বছরান্তে একবার খুঁজে, সব সময় দোষ খুঁজে তারা। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে সিপিডির কাজ কী শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো।

‘এই যে অগ্রগতি গত ১০ বছরে হয়েছে, দুঃখজনক হলেও সত্য এটি তারা দেখে না। এটি তাদের দৈন্যতা এবং ব্যর্থতা। ’

তিনি বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় তারা সরকারের ১০০ দিন পার হওয়ার পর যে রিঅ্যাকশন দিয়েছে, এটি অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য। গত ১০ বছর ধরে দোষ খুঁজে বেড়ানো তাদের যে স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি, এটিও তারই অংশ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেটি দেখছে এবং প্রশংসা করছে। গত ১০০ দিনে সরকার অনেকগুলো কাজ করেছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। অথচ সিপিডি এগুলো দেখতে পাচ্ছে না। এটি তাদের ব্যর্থতা। তবে আমরা আশা করবো- সিপিডি তাদের ব্যর্থতা কাটিয়ে সরকার যে অগ্রগতি ও উন্নয়ন করছে, সেটির দিকে দৃষ্টি দেবে।

বিএনপির সংসদে যাওয়া নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও সংসদে যাচ্ছে না। বিএনপি একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে ধরনের উদ্যোগ আয়োজন দরকার ছিল, সেটি তারা করেনি। তারা যদি সঠিকভাবে করতো, মনোনয়ন বাণিজ্য যদি না হতো, তারা আরও বেশি আসন পেতে পারতো। সেটি তারা করেনি। এখন তারা নির্বাচিত হওয়ার পর যে সংসদে যাবে না বলছে, শপথ নেবে না বলছে, এটি জনগণের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ ছাড়া আর কিছু না। এটি রাষ্ট্রের প্রতিও অবজ্ঞা প্রকাশ করা।

এসময় তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মহাপরিকল্পনার একটি অংশ। গত নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছিল, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। যে কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও তারা কিছু করতে পারেনি। আর এখন যে সংসদে তারা শপথগ্রহণ করবে না বলছে, এটিও গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, গণতন্ত্রের যাত্রাকে ব্যাহত করার পরিকল্পনার অংশ। কাজেই এতে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে না, গণতন্ত্রের যে অব্যাহত অভিযাত্রা, এটি বজায় থাকবে। বরং বিএনপি নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ