ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুক্তি মোতাবেক ১৫৪ জন শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন, শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। 

৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে অবিলম্বে রাজপথ ও রেল অবরোধ করা হবে বলে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
 
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

এর আগে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের পর বিক্ষোভ মিছিল দিনাজপুর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টিইউসি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম নুরুজ্জামান জামান।  

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩য় ইউনিটের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর উৎপাদন কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রকল্পের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু সিবিএ নেতা বাইরে থেকে অদক্ষ কর্মী নিয়োগের পাঁয়তারা শুরু করলে আমরা বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শুরু করি। শ্রমিকদের তীব্র আন্দোলনের ফলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র উন্নয়ন কাজে নিয়োগ অভিজ্ঞ শ্রমিকদের মধ্য থেকে ১৫৪ জন শ্রমিককে নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীকালে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ১৫৪ জন শ্রমিক নিয়োগ করার অনুমোদন দেন।

তিনি আরও বলেন, গত ৮ এপ্রিল ২০ ক্লিনার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে ১৫৪ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৩ জনকে নিয়োগের জন্য চুড়ান্ত করে। আর অদক্ষ ৭ জনকে নিয়োগের জন্য সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ছোট ভাই ও ফুলবাড়ী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি খাজা মঈন উদ্দিন চিশতি ও তার সঙ্গী আরিফুল ইসলাম সুমন বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে চাপ দেয়। এসময় শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে খাজা মঈন উদ্দিন চিশতি ও আরিফুলসহ তাদের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এসময় শ্রমিকরা ১৫৪ জনের মধ্য থেকে ২০ জন ক্লিনার পদে নিয়োগ দাবি জানিয়ে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। এসময় পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আন্দোলনরত অনেক শ্রমিক আহত হয় ও ৫ জন শ্রমিকের বাইসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরে সন্ত্রাসী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদসহ ৩৯ জনকে আসামি করে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেন যা মিথ্যা মামলা।
 
আমরা অবিলম্বে ১৫৪ জন শ্রমিক নিয়োগ প্রদান, মিথ্যা মামলা নিঃর্শতভাবে প্রত্যাহার ও শ্রমিকদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। অবিলম্বে ৩ দফা দাবি মানা না হলে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের মত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এসময় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মেহেরুল ইসলাম, সিপিবির জেলা সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল ও অমৃত রায়সহ শতাধিক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘন্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।