জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার এক হাজার ৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৯১টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এর মধ্যে আশাশুনি উপজেলায় ৬৮টি, কলারোয়ায় ৪৭টি, কালিগঞ্জে ৩২টি, তালায় ১২টি, দেবহাটায় ৭টি, শ্যামনগরে ৫৯টি, সদর উপজেলায় ৬৬টিসহ মোট ২৯১টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থানীয় উদ্যোগে কিছু স্কুলে বিকল্প পাঠদানের ব্যবস্থা হলেও অধিকাংশটিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান চলছিল।
তাই ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মঙ্গলবার ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে পাঠদান বন্ধের নির্দেশনা জারি করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে ৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন পুনঃনির্মাণের কাজ চলছে এবং ইতোমধ্যে শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পুনঃনির্মাণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বাকি বিদ্যালয়ে আগামী অর্থবছরে ভবন পুনঃনির্মাণ করা হবে। এসব ভবন পুনঃনির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান না করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এসএইচ